দেবীদ্বারে ফলদ গাছের চারাগুলো ধরে কাঁদছিলেন বৃদ্ধ

এ আর আহমেদ হোসাইন,(দেবীদ্বার- কুমিল্লা )প্রতিনিধি।।

‘দুষ্কৃতিকারীদের কর্তৃক রাতের আঁধারে কেটে ফেলা সখে লাগানো বিভিন্ন ফলদ গাছের চারাগুলো ধরে কাঁদছিলেন অশিতিপরায়ন এক বৃদ্ধ, আর বলছেন,- গাছগুলো আমার সখের লাগানো ছিল, রাজশাহী সহ দেশের বিভিন্ন নার্সারী থেকে বেছে বেছে আনা আম, কাঠাল এবং কাঠের কিছু গাছ লাগিয়েছিলাম বাড়ির আঙ্গিনায়, সড়কের পাশে। কি অন্যায় করেছিল এ গাছগুলো ? এ কেমন নিষ্ঠুরতা!’ বৃহস্পতিবার সকালে দুষ্কৃতিকারীদের কর্তৃক গাছ কাটার সংবাদে সরেজমিনে ঘটনাস্থল যেয়ে কাটা গাছ জড়িয়ে ওই বৃদ্ধ কান্না বিজড়িত কন্ঠে ওই আর্তি জানাচ্ছিলেন।

ঘটনাটি ঘটে বুধবার দিবাগত রাতের কোন এক সময়ে উপজেলার ফতেহাবাদ ইউনিয়নের চান্দপুর গ্রামের ‘গঙ্গামন্ডল মডেল কলেজ’ সড়কের পাশে।
ওই সড়কের পাশের বাড়ির অশিতিপরায়ন বৃদ্ধ হাজী মোঃ মঞ্জুর আলী(৮০) বলেন, বছর তিনেক আগে আমার পুত্র মোঃ কামাল হোসেন রাজশাহী থেকে উন্নতমানের আমের চাড়া, দেশের বিভিন্ন নার্সারী থেকে কাঠাল ও কাঠের চারা এনে নিজ বাড়ির আঙ্গীনায় এবং ‘গঙ্গামন্ডল মডেল কলেজ’ সড়কের পাশে লাগিয়ে ছিলাম, সন্তানের মতো গাছগুলোর পরিচর্যা করে আসছিলাম। গাছগুলো মাথা উঁচু করে দাড়িয়েছিল, বছর ঘুরে এলে থোকায় থোকায় ফল ধরার দশ্য দেখার অপেক্ষায় ছিলাম, সে দেখা আর হলোনা।

স্থানীয়রা জানান, রাজশাহী সহ বিভিন্ন নার্সারী থেকে আনা গাছগুলো সখের লাগানো ছিল। বৃদ্ধ হাজী মোঃ মঞ্জুর আলী প্রতিদিনই গাছগুলো পরিচর্যায় করতে দেখতাম। আজ সকালে এসে দেখি ওনার সখের গাছগুলোর মধ্যে আমা কাঠাল এমনকি কাঠের কেশ কিছু গাছ কুপিয়ে কেটে ফেলে রেখেছে। কারা এ কাজ করতে পারে জানতে চাইলে জবাবে বলেন, ওদের নাম বলা যাবেনা।

বৃদ্ধ হাজী মোঃ মঞ্জুর আলী’র পুত্র মোঃ কামাল হোসেন জানান, আমরা বাড়িতে থাকিনা। বাবা থাকেন, বাবার ইচ্ছাতেই কিছু উন্নতমানের আম, কাঠালের ফলদ ও বৃক্ষের গাছের চারা এনে দেই। সেগুলো বাবা সন্তানের মতোই পরিচর্যা করে আসছেন। খুব খারাপ লাগে তখন বাবা যখন কাটা গাছগুলো ধরে সন্তান হারার মতো হাউমাউ করে কেঁদে ফেলেন।

এ বিষয়ে মামলা করবেন কি না জানতে চাইলে কামাল হোসেন বলেন, কারা কখন এ গাছগুলো কেটেছে তা দেখিনি। তবে বাড়ির সামনে একটি পাকা ভিটি দোকান ঘর নির্মান করি, যা এখনো চালু করা হয়নি। ওই দোকান ঘরে একদল বখাটে গভীর রাত পর্যন্ত আড্ডা মারত। জুয়া খেলত, মাদক সেবন করত, তাদের বাঁধা দেই, দোকান ছেড়ে চলে যেতে বলি। ওরা আমার কথায় ক্ষুব্ধ হয়ে হুমকী দিয়ে যায়। ওই কারনে ক্ষুব্ধ হয়ে ওরা এ কাজটি করতে পারে বলে সন্দেহ করলেও মামলা করে আর বিপদে পড়তে চাইনা।

     আরো দেখুন:

পুরাতন খবর

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০  

You cannot copy content of this page